কিভাবে পড়াশুনায় মনোযোগ বাড়াবো / কিভাবে কন্সেন্ট্রেশন বাড়াবো

১)সাধারণত আমরা যখন আমাদের প্রিয় মুভি দেখি তখন আমরা কখনও অমনোযোগী হয়না,তখন সব মনোযোগ আমরা ওই মুভি বা নাটকের মধ্যে দিয়ে দেই। কিন্তু পড়াশুনার ক্ষেত্রে এভাবে একটানা মনোযোগ আমরা দিতে পারিনা কারণ আমরা যখন আমরা কোন কিছু পছন্দ করি বা ভালোবাসি আমাদের মন সেই বিষয় এর উপর মনোযোগী হয়ে যায়। তাই প্রথমত আমরা যেই কাজ করবো সেটা কে পছন্দ করতে হবে।

২) নিজেকে প্রশংসা করতে হবে যখন তুমি একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হলেও নিজের কাজে/পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে পেরেছো,সেটা হোক ১৫-20 মিনিট বা ২-৩ মিনিট । এভাবে নিজেকে মোটিভেট করতে হবে যে আমি পরের বার একটানা ৩০ মিনিট মনোযোগ দিবো,এরপর ৫০ মিনিট ,১ ঘন্টা। এভাবে নিজের মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করবে।তুমি যদি অনেক দীর্ঘ সময় দরে মনোযোগ দিতে চাও তাইলে তোমাকে কম কম সময় টার্গেট করে শুরু করতে হবে। কারণ হটাৎ করে কখনো একটানা দীর্ঘ সময় মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা অর্জন করা যায় না, এর জন্য আস্তে আস্তে অভ্যাস সৃষ্টি করতে হয় ।

৩) যেসব বস্তু আমাদের পড়াশুনার মধ্যে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করে ( যেমন: মোবাইল ফোন,সোশ্যাল মিডিয়া ) সেসব বস্তুকে দূরে রাখতে হবে ।যদি তোমার মোবাইল তোমাকে পড়াশুনার মধ্যে ডিসটার্ব করে ,তাহলে ফোন তা পড়ার রুম থেকে সরিয়ে অন্য রুম এ রেখে আসবে এবং নিজেকে বলবে যে পড়াশুনা শেষ না করে আমি এই ফোন নিবোনা।

টাইম ম্যানেজমেন্ট টেকনিক: প্রথমে বই খাতা নিবে এবং পড়াশুনা শুরু করার আগে ফোন এ টাইমার সেট করবে। এরপর পড়া শুরু করবে। পড়াশুনার মধ্যে যখনি মনে হবে যে তুমি অরে মনোযোগ দিতে পারছো না ,তখনি টাইমার তা স্টপ/বন্ধ করবে। এখন যেই টাইম টা রেকর্ড হয়েছে ,ওই টাইম এ হবে তোমার স্টাডি সেশন এর দৈর্ঘ্য। অর্থাৎ যদি তোমার রেকর্ডকৃত টাইম ১০ মিনিট হয় তাহলে তুমি একটানা ১০ মিনিট পড়বে,ও এরপর ২-৩ মিনিটের ব্রেক/বিরতি নিবে । এই বিরতির সময় কখনো ফোন ব্যবহার করবে না । এই সময়ে হয়তো কোনো খাবার খেতে পারো অথবা কিছুক্ষন এর জন্য চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিলে। বিরতির পর পুনরায় পড়া শুরু করব। এরপর এক সপ্তাহ পর তোমার স্টাডি সেশন এর টাইম বাড়িয়ে ১৫ মিনিট করবে ,এর পরের সপ্তাহে ২০ মিনিট ,তারপর ৩০ মিনিট ,৪০ মিনিট,১ ঘন্টা,২ ঘন্টা। এভাবে তুমি লম্বা সময়ের জন্য মনোযোগী হওয়ার প্রাকটিস করতে পার।